আজকাল ওয়েবডেস্ক: ঘনিয়ে আসছে সময়। ডানা মেলে এগিয়ে আসছে ‘ডানা’। যার ঝাপটা কতটা আগ্রাসী হবে সেটা এখনও পরিষ্কার নয়। পরিস্থিতি সামাল দিতে সুন্দরবন উপকূল এলাকাগুলিতে মোতায়েন করা হল জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী বা এনডিআরএফ। তাঁরা ইতিমধ্যেই বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে ঘুরে পরিস্থিতি সম্পর্কে ওয়াকিবহাল হচ্ছেন। সতর্ক থাকতে বলছেন উপকূল অঞ্চলের বাসিন্দাদের। দিচ্ছেন প্রয়োজনীয় নির্দেশ।
বুধবার সকাল থেকেই এলাকা পরিদর্শন করছেন সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী বঙ্কিমচন্দ্র হাজরা। তাঁর সঙ্গে রয়েছেন প্রশাসনিক ও পুলিশ কর্তারা। মঙ্গলবারই ডানা মোকাবিলায় একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করেছেন বঙ্কিম। সেখানে আলোচনা হয়েছে ভাঙন কবলিত এলাকা ও নদী বাঁধগুলির সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়ে। ইতিমধ্যেই সেখানে মোতায়েন করা হয়েছে এনডিআরএফ সদস্যদের। প্রশাসনের একটি সূত্র জানিয়েছে, দক্ষিণ ২৪ পরগনায় মোট ৭৬টি ভাঙন কবলিত এলাকাকে চিহ্নিত করা হয়েছে। গঙ্গাসাগর থেকে গোসাবা পর্যন্ত নদী তীরবর্তী এলাকায় যে মাটির বাঁধগুলি আছে সেগুলি যুদ্ধকালীন তৎপরতায় মেরামত করা হচ্ছে।
ঘনিয়ে আসা এই প্রাকৃতিক দুর্যোগের জন্য সবরকম সরকারি আধিকারিকদের আপাতত ছুটি নেওয়া বাতিল করা হয়েছে। তৈরি রাখা হয়েছে ত্রাণ শিবির। যেখানে মজুত করা হয়েছে শুকনো খাবার, গুঁড়ো দুধ ও পানীয় জল। প্রাণহানি বা দুর্ঘটনা এড়াতে ঘোড়ামারা, নামখানা–সহ বেশ কিছু এলাকা থেকে উপকূলবর্তী এলাকার বাসিন্দাদের সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার কাজ শুরু হয়েছে। চলছে এলাকায় এলাকায় সতর্কতামূলক মাইকিং।
